,

নবীগঞ্জে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দুই ঘণ্টার ব্যবধানে ফের দখল

জাবেদ তালুকদার : ফুটপাত দখল করে অবৈধ দোকানপাট, যত্রতত্র স্থাপিত গাড়ির স্ট্যান্ড ও অবৈধ পার্কিংয়ের কারনে প্রতিনিয়তই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে নবীগঞ্জ শহরে। নবীগঞ্জ শহরবাসীর প্রধান সমস্যায় পরিণত হয়েছে এই যানজট। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা এই শহরে। অথচ এখানে পা ফেলার জায়গা থাকে না অবৈধ স্থাপনা ও দোকানের বর্ধিত অংশে মালামাল রাখার কারণে। বারবার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েও দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না নবীগঞ্জ শহরের ফুটপাত। সকালে উচ্ছেদ করলে বিকালেই ফের দখল!
জানা যায়, চলতি বছরে নবীগঞ্জ শহরে পথচারীদের নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য টাইলস দিয়ে ফুটপাত উন্নয়ন করা হয়। অথচ বেশির ভাগ দখলে থাকায় ফুটপাত ধরে হেঁটে চলাচল করার কোনো সুব্যবস্থা নেই। দখলদারিত্ব থেকে মুক্তি পাচ্ছে না ফুটপাতের কোনো অংশ। ফুটপাতজুড়েই গিজগিজ করছে বিভিন্ন ধরনের দোকান। পথচারীদের হাঁটার জায়গা দখল করে নানা ধরনের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। ফুটপাত দিয়ে হাঁটার মতো কোনো পরিস্থিতি নেই। তাই পথচারীরা বাধ্য হয়ে চলাচলের জন্য ব্যবহার করছেন মূল সড়ক। ফলে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে, সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। সেই সঙ্গে প্রতিনিয়ত পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এমতাবস্থায় যানজট নিরসন ও পথচারীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে নবীগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
গতকাল মঙ্গলবার দিনব্যাপী নবীগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষের উদ্যেগে শহরের ওসমানী রোড, মধ্যবাজার ও শেরপুর রোডসহ বিভিন্নস্থানে সড়ক ও ফুটপাত থেকে শতাধিক হকার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে পৌরসভার মেয়র ছাবির আহমেদ চৌধুরী, পৌর কাউন্সিলর ফজল আহমেদ চৌধুরী, নানু মিয়া ও শ্রমিক নেতা আহমেদ ঠাকুর রানাসহ পৌরসভার কর্মচারীবৃন্দ ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিকেল ৪টায় নবীগঞ্জ শহর ঘুরে দেখা যায়, অভিযান শেষ হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই হকার ও ভাসমান দোকানিরা ফের ফুটপাত দখলে নিয়ে তাদের দোকানপাট বসিয়ে পড়ে। হকাররা পাল্লা দিয়ে নিজেদের দোকানপাট বসানোর কাজ করছে। কিছু কিছু হকার ভ্যান-ট্রলি নিয়ে নিজেদের ভাসমান দোকান বসিয়ে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে বেচাকেনা শুরু করে দিয়েছে। অন্যান্য ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরাও নিজের অস্থায়ী দোকানপাট বসিয়ে ফুটপাতকে পূর্বের অবস্থায় নিয়ে এসেছে। উচ্ছেদ করার পরও কীভাবে বা কাদের অনুমতিতে পুনরায় দোকান বসানো হয়েছে তা জানতে চাইলে কথা বলতে চাইলে রাজি হননি কোনো দোকানদার।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বলেন, অভিযানের পর হকাররা পুনরায় ফুটপাত দখল করলে ফের অভিযান পরিচালনা করা হবে। হকারদের জন্য নির্ধারিত স্থান রয়েছে তারা সেখানে বসবে। ফুটপাত বা রাস্তার পাশে কোন দোকান বসানো যাবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম কুমার দাশ অনুপ বলেন, ফুটপাত দললমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনভোগান্তি লাঘবে প্রশাসন বদ্ধ পরিকর।


     এই বিভাগের আরো খবর